খুলনার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তালুকদার খালেক
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিস) মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিলেন তালুকদার আবদুল খালেক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালার কাছ থেকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। এই উপলক্ষে সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলররা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে এই অনুষ্ঠান বর্জন করেন।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র পত্নী বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলার সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার।
দায়িত্ব গ্রহণের পর বক্তব্য দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। ছবি : এনটিভি
গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে দ্বিতীয় দফায় খুলনার মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুজ্জামন মনির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
আজ দায়িত্ব গ্রহণ করে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, তিনি ভবিষ্যতে খুলনাকে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে পরিচালনা করতে চান। খুলনাকে নতুন কিছু দিয়ে সাজাতে চান। তাঁর প্রথম কাজ হিসেবে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খালগুলো দখলমুক্ত করতে চান।
মেয়র ঘোষণা দিয়ে বলেন, যাঁরা নিজের ভাগ্য গড়বেন বলে এখানে এসেছেন, তাঁরা যেন তাঁর কাছ থেকে ৩৬ হাত দূরে থাকেন।
বিদায়ী মেয়র মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেক বলেন, বিদায়ী মেয়র থাকলে তিনি সহজ হতেন। না থাকায় তিনি কঠিন হবেন।
বিদায়ী মেয়রকে ব্যর্থ মেয়র হিসেবে আখ্যা দিয়ে খালেক বলেন, তাঁর আমলে সব অনিয়ম তদন্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খুলনা ও রাজশাহীর মেয়রকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।