চালককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরো একজন গ্রেপ্তার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/20/photo-1442760968.jpg)
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ইজিবাইক চালক শামীমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল-আমিন (১৮) নামে আরো যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আজ রোববার দুপুরে ইটনা উপজেলার রায়টুটি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের আম-আটি শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। সন্ধ্যায় তাঁকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আবীর হোসেন জনি (২২) ও মো. সাজনকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি ইউনিয়নের খাসাপুর গ্রামের মীরফত আলীর বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপপরিচালক মেজর মো. রিয়াদুল ইসলাম জানান, শামীম হত্যাকাণ্ডে আল-আমিন, জনি, সাজন, শফিক সরাসরি অংশ নেয়। স্থানীয় বখাটেদের নেশায় বাধা দেওয়ার কারণেই বখাটেরা শামীমকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। শামীম মৃত্যুর আগে তিন বখাটের নাম পুলিশের কাছে বলে গেছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমও হত্যার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমের কাছে একই কথা বলেছিলেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আম-আটি শিবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ইজিবাইক-চালক শামীমকে একটি মাছের খামারের পাশে নিয়ে পেট্রল ঢেলে শরীরে আগুনে লাগিয়ে দেয় কয়েক দুর্বৃত্ত। গুরুতর দগ্ধ শামীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শামীমের চাচা মানিক মিয়া বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চার জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।