এক ভুয়া পরিচয়পত্রে ১৪১১৭ সিম!
সরকারের হাতে রয়েছে এক কোটি সিমের তথ্য। এর ৭৫ ভাগই সঠিকভাবে নিবন্ধিত নয়। অপরদিকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলারও নজির আছে, আবার সেই পরিচয়পত্রটিও ভুয়া। এমন চিত্রকে ভয়াবহ উল্লেখ করে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিম নিবন্ধনে হাতের ছাপ বাধ্যতামূলক করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
দেশের মানুষের হাতে এখন বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রায় ১৩ কোটি সিম রয়েছে। যার মধ্যে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় এক কোটি সিমের তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। অর্থাৎ মোট সিমের কেবল ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ সিমের তথ্য মিলেছে। মোবাইল অপারেটরের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী তুলে ধরেন আরো ভয়াবহ চিত্র।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা এনআইডির মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে একটি ভয়াবহ তথ্য পেয়েছি। একটি এনআইডির মাধ্যমে ১৪ হাজার ১১৭টি, আরেকটি এনআইডির মাধ্যমে ১১ হাজার ৮৬৬ এবং তৃতীয় আরেকটি এনআইডির মাধ্যমে ১১ হাজার ৩২৮টি সিম কার্ড তোলা হয়েছে। মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ ডাটার বিপরীতেই এই চিত্র পাওয়া গেছে।’
তাই পুরো বিষয়টিকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিম কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি হাতের ছাপ বাধ্যতামূলক করছে মন্ত্রণালয়। যার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে নভেম্বর থেকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করবেন পরীক্ষামূলকভাবে। সেটি নভেম্বর থেকে তাঁরা করবেন। কোনো ব্যক্তি যদি তাঁর নিজের সিমের অবস্থা জানতে চান, তাহলে তিনি সেই সেন্টারে গিয়ে তা জানতে পারবেন। চতুর্থ ধাপে ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করব।’
আর এখন ব্যবহার করা সিমের মধ্যে যেসব সিমের বিপরীতে আরো কাগজপত্র দরকার তা এসএসএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানানো হবে। পাশাপাশি সিম কেনার সময় দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র যেন তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেন, সেজন্য শিগগির নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।