আলোর পথে ওঁরা নয়জন
সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজা পাচার করেছেন এত দিন। সুস্থ জীবনে ফেরার চেষ্টাই করেননি। চিহ্নিত ছিলেন মাদকপাচারকারী হিসেবে। সেই ৯ জনই মুচলেকা দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হামিদুল আলমের কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়ে মাদক ব্যবসা ছাড়ার ঘোষণা দেন ওই ৯ জন। তাঁরা হলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী খাসমহল গ্রামের আহম্মেদ আলী, ইমাদুল হক, রকিবুল ইসলাম, ধলা গ্রামের আবদুস সালাম, তাঁর ছেলে সেন্টু আলী, কাথুলী গ্রামের জাকিরুল ইসলাম, লাল্টু, লাল্টু মিয়া ও রংমহল গ্রামের ইমাদুল ইসলাম।
মুচলেকা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাথুলী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসপি হামিদুল আলম। সভাপতিত্ব করেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নবিছ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন, গাংনী উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে এসপি হামিদুল আলম বলেন, মাদকের ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের কোনো অসাধু কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসপি আরো বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে আবারও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে।