সাতক্ষীরায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তরুণীর লাশ, ‘প্রেমিক’ আটক

সাতক্ষীরা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, ওই তরুণী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এ ঘটনায় এক চিকিৎসাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে শহরের পলাশপোলের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি প্রথমে সাতক্ষীরা সদর থানায় নেওয়া হয়, পরে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তরুণীর নাম তামান্না খাতুন (২৭)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি তালাকপ্রাপ্তা এবং একটি মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় আটক আবু সাঈদ (২৮) ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসাকর্মী।
এ ব্যাপারে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস দাবি করেন, সাঈদের সঙ্গে তামান্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তামান্না বিভিন্ন সময়ে সাঈদকে বিয়ের জন্য তাগিদ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সাঈদ নানা বাহানা করছিলেন।
আটককৃতের বরাত দিয়ে এসআই আরো দাবি করেন, গতকাল মঙ্গলবার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে আবু সাঈদ একাই ছিলেন। তামান্নাও কালীগঞ্জ থেকে সেখানে আসেন। তাঁরা দুপুরে ও রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। রাতে একই বিছানায় ঘুমাতে যান।
‘এ সময় বিয়ে নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। কিছু সময় পর তামান্না ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী অপেক্ষার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তামান্নাকে তখন নিচে নামান ও তাঁকে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন।’
এসআই প্রদীপ কুমার দাস আরো জানান, তামান্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।