বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/30/photo-1443623984.jpg)
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা তিনজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ প্রধান আসামি জাকির হোসেন বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার শিকার ওই মেয়েটির পরিবার ও সদর থানা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার কাশাভোগ গ্রামের জাকির হোসেন বেপারী এক কিশোরীকে বিয়ের জন্য বেশ কয়েকবার প্রস্তাব দেয়। ছেলেটি বখাটে হওয়ায় তার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি কিশোরীর পরিবার। গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে মনোহর বাজার মোড়ে বাবার কাছে যাচ্ছিল কিশোরী। পথে জাকির হোসেন বেপারী তার দুই বন্ধু এমদাদুল বেপারী ও আসাদুল বেপারীকে নিয়ে কিশোরীকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গ্রামের একজনের ঘরের ভেতরে ধর্ষণ করে জাকির। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে চলে যায়।
খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মেয়েটির চেতনা ফিরে আসে। আজ বুধবার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ জাকির হোসেন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
ঘটনার শিকার ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘জাকির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ছিল। ছেলেটি বখাটে হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে রাজি হই নাই। প্রতিশোধ নিতে ওরা আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমি এই অপরাধীদের বিচার চাই।’
গ্রেপ্তারের পর জাকির হোসেন বেপারী ধর্ষণের কথা শিকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতেই ঘটনার মূল হোতা জাকির হোসেন বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জাকির ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বাকি দুজন তাকে সহায়তা করেছে।