হয়রানির অভিযোগ এনে দ্রুত সেনা মোতায়েনের দাবি আলমগীরের
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/12/13/photo-1544709406.jpg)
নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ধানের শীষের প্রচারণায় নেমেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোলা-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মহানপট্টিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আলমগীরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ধানের শীষে ভোট চান তারা।
হামলা, ভাঙচুর ও নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে ভোটারদের উদ্দেশে আলমগীর বলেন, ‘আপনার মূল্যবান ভোটটির ফলে এই সরকারের অবসান ঘটবে। একই সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও মুক্ত হবেন। অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন আর হত্যাসহ দুর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ধানের শীষে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিন। আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন। যারা দুর্নীতি করে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করেছে, এখন সময় এসেছে ভোটের মাধ্যমে তাদেরকে বর্জন করার।’
ভোলা-১ আসনে বিএনপির এই প্রার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের প্রচারণায় সরকারি দল ও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। তারা আমাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। হয়রানি করছে নেতাকর্মীদের। অথচ নিজেরা পুলিশি পাহারা আর শোডাউন করে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই। সবসময় তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।’
এদিকে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রচারণা চলাকালে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
নির্বাচনী প্রচারণায় গোলাম নবী আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খাঁন, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুমেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, প্রচার সম্পাদক বশির আহমেদ, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম কায়েদ, সদস্য সচিব মো. কবির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আলামিন প্রমুখ।
অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিতে ভোট দেওয়া যাবে কিনা এই প্রশ্ন তোলেন সাধারণ ভোটাররা। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তারা।