মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা
রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে মির্জা আব্বাসসহ তাঁর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে ৩০/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ছবি : স্টার মেইল
হামলার শিকারের পর দুপুরে মির্জা আব্বাস তাঁর শাজাহানপুরের বাসভবনে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ এভাবে সহিংস আক্রমণ চালাবে আমি ভাবতেও পারিনি। নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রমে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। অন্যদিকে আহত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় আহত বেশ কয়েকজনের নাম বলেন মির্জা আব্বাস। তাঁরা হলেন- শ্রমিক দল নেতা আওয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেন, নুর আলম, মো. রানা, মহিলা দল নেত্রী জাহানারা বেগম, বিলকিস, মনি, রাশিদা, নিরাপত্তারক্ষী কফিল উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, আলম, আবদুস সালাম, ছাত্রদলের নাদিয়া পাঠান পাপন, বিএনপি নেতা মানিক, যুবদল নেতা ইমন, শওকত আলী স্বপন, মিজান, আলীমুদ্দিন প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস বলেন, তাদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশী আতঙ্কের কারণে হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারছি না।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ছবি : স্টার মেইল
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বলছে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না, আসলে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমরা নির্বাচন করতে পারবো কিনা এ বিষয়ে দেশের জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে। আসলে সরকার কি চায়? বিএনপিকে নির্বাচন করতে আদৌ দেবে কি দেবে না এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়া উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তফসিল ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে নতুন কোনো মামলা হবে না এবং পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে না। এই বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ছবি : স্টার মেইল
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পালানোর সুযোগ আমাদের নেই। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, চার দিন আগে ঢাকা-৯ নির্বাচনী আসনের ধানের শীষের প্রার্থী, আমার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা যতই হোক নির্বাচনের মাঠ আমরা ছাড়বো না।