সাতক্ষীরায় বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা নির্বাচনী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় কালীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আশাশুনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জুলফিকার জুলি, শোভনালী ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বিএনপির আশরাফুল আলম মুকুল ও শহিদুল ইসলাম এবং নলতার হাসান। তাদের বিরুদ্ধে ৮ থেকে ১০টি করে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।
দেবহাটা থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তাঁর থানার আটজন রয়েছে।
অপরদিকে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তাঁর এলাকার আটজন আসামি রয়েছে । বাকি ২৯ জন কালীগঞ্জ থানা এলাকার আসামি। তাদের সবাই নাশকতার মামলার এজাহারনামীয়।
কালীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি জামিরুল ইসলাম জানান, তারা গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জের চার ইউনিয়ন) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম জানান, তিনি নলতায় তাঁর কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক করছিলেন। এ সময় পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে শহিদুল বলেন, ‘আমি বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’