সাতক্ষীরা-১ আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছেন একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত। তিনি বলেছেন, মোস্তফা অন্য  দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন।

এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

লিখিত অভিযোগে সৈয়দ দিদার বখত জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে তাঁর দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করছেন, যা আচরণবিধির ৭ এর ২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই ছবি ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে এং সাথে সাথে তাঁর  (প্রধানমন্ত্রী) সুনামকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার অপচেষ্টা বলে আমাদের বিশ্বাস।

আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি সুবিধা অর্জনের এই অপচেষ্টা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথা বিচার এবং তাঁকে মহান সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস বলে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রধানের ছবি নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ও ব্যানারে ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শরিক দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিলে প্রচার কাজে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করতে পারবে কিনা এ সিদ্ধান্ত চেয়ে দলটি কমিশনকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধিত দলগুলোকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।