‘তদন্ত কমিটি অসম্পূর্ণ, পক্ষপাতদুষ্ট’
পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে নৌ প্রকৌশলী, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও নৌ পরিবহনবিষয়ক গবেষকের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। সরকারের করা বর্তমান তদন্ত কমিটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, এ কমিটি অসম্পূর্ণ, প্রশ্নবিদ্ধ ও পক্ষপাতদুষ্ট।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তিভবনে ‘পদ্মায় এমভি মোস্তফা লঞ্চডুবির দায়ভার কার?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আশীষ কুমার দে এ কথা বলেন। ওই সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আশীষ কুমার দে বলেন, গত ১০ মাসে সংগঠিত ১৩টি নৌ দুর্ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর মোট ১৭টি কমিটি গঠন করলেও এমভি মোস্তফা দুর্ঘটনার বাইরে গঠিত ১৫টি কমিটির আটটি এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। তিনি আরো বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব নূর-উর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এমভি মোস্তফা দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটিতে কোনো নৌ প্রকৌশলী, পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ ও নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ নেই। এ ছাড়া এ কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আশীষ কুমার দে আরো বলেন, ‘সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় তিন মাস পরও কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।’ এমভি মোস্তফার জন্য দায়ী সব কর্মকর্তার শাস্তি, নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রী কোষাগার থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ আট দফা সুপারিশ করেন তিনি।
আলোচনায় লঞ্চ মালিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘লঞ্চের চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যারা লঞ্চ চালায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয় না। মাঠে কাজ করছে, তাকে ডেকে এনে লঞ্চে কাজ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রশিক্ষণের নামে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এ কাজটা অন্যায়। এসব চালকের কমপক্ষে ৯০ দিন প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার।’