আশপাশের ইউপিকে দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার সুপারিশ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাইরে থাকা অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়া ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে (ইউপি) সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এতে কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকার আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদকে ঢাকার ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব কমিটিতে আসে। কমিটি মনে করছে এমন অনেক ইউনিয়ন পরিষদ আছে যা ঢাকা মহানগরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে কিন্তু সিটি করপোরেশনের মর্যাদা ভোগ করেনি। তাই সেগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার জন্য সংসদীয় কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে; যা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে সিটি করপোরেশনের নামে বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে সিটি করপোরেশনে বাজেট বরাদ্দ নেই কিন্তু সরকারের অনুমতি না নিয়েই খরচ করে বসে আছে। এরপর টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু এই অনুশীলনটি বন্ধ করা দরকার বলে মনে করছে কমিটি। কারণ এর সঙ্গে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা থাকার সম্ভাবনা থাকে।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সিটি করপোরেশনে বসবাসরত নাগরিকদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তাদের কাছ থেকে সব সেবা প্রদানের বিল যথাযথভাবে আদায়ের লক্ষ্যে অভিন্ন ইনডেক্স নম্বর চালু করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সমবায় অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা হয় এবং সমবায় অধিদপ্তরের শূন্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ, সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করতে পরবর্তী সভায় একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং যেসব সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুরে চিড়িয়াখানা রোডে জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির নামে বরাদ্দ করা ৫০ কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত ১৬ তলা ভবনের মালিকানা ডেভেলপারকে ৮৪ শতাংশ এবং সমিতির নামে ১৬ শতাংশ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে সে বিষয়ে পরবর্তী সভায় একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আলহাজ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, সাবের হোসেন চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা ও বেগম রহিমা আকতার বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এম এ কাদের সরকার, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামাপ্রসাদ অধিকারী, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।