ফের ‘স্বীকারোক্তি লেখাসহ’ গণধর্ষণ মামলার আসামির লাশ উদ্ধার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/01/26/photo-1548504656.jpg)
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় গণধর্ষণ মামলার আসামি সজল জমাদ্দার নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বীণাপাণি গ্রামের একটি মাঠ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সজলের বাড়ি পাশের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায়। তিনি ভান্ডারিয়া থানায় দায়ের করা একটি গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, দুপুরে বিনাপানি গ্রামের একটি বাগানের পাশের মাঠে সজলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথার দুই পাশে দুটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বুকে লেমিনেটিং করা একটি কাগজে লেখা ছিল, তাঁর নাম সজল। তিনি মাদ্রাসাছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামি। ধর্ষণের কারণে তাঁর এই পরিণতি।
খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হক রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভান্ডারিয়া ও কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ জানায়, গত ১২ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে ভান্ডারিয়া উপজেলায় গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। সেদিন নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পানের বরজের ভেতর গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় সজল জমাদ্দারকে প্রধান আসামি করে ১৪ জানুয়ারি ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার পর থেকেই সজল জমাদ্দার নিখোঁজ ছিলেন বলে তাঁর পরিবার জানায়।
গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের মামলার মূল আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইয়োগি লিমিটেড কারখানা থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন এক নারী শ্রমিক। এ সময় পাঁচ বখাটে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কারখানার পেছনে একটি মাঠে গণধর্ষণ করে। পরের দিন ৬ জানুয়ারি ওই নারী শ্রমিক মারা যান। একদিন পর ৭ জানুয়ারি নারী শ্রমিকের বাবা ইয়োগি বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার লাইন চিফ রিপন মিয়াকে (৪০) প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। ১৭ জানুয়ারি রাতে আশুলিয়ার খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরের একটি খোলা মাঠ থেকে রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের গলায় একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা।’ রিপনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়।