যুক্তরাজ্যের সতর্কতা, বিদেশিদের ওপর আরো হামলার আশঙ্কা
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের ওপর আরো হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এ জন্য আজ শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করেছে।
ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ কার্যালয়ের সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদী হামলার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। পশ্চিমাদের ওপর আরো হামলা হতে পারে।’
এ ছাড়া সারা দেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে হঠাৎ করে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কূটনীতিক জোন হিসেবে পরিচিত গুলশানে এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৩ অক্টোবর রংপুরে এক জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর মধ্যেই যুক্তরাজ্য তার দেশের নাগরিকদের জন্য সর্বশেষ এই সতর্কবার্তা দিল।
এ ঘটনা দুটির কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্ট (আইএস) এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
বিশেষ করে যেসব অনুষ্ঠানে বিদেশিরা যোগদান করবে সেসব অনুষ্ঠানে যোগদানের ব্যাপারে বাংলাদেশ সফরকারীদের সতর্ক থাকার কথাও সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে।
দুই বিদেশি হত্যার পর মার্কিন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কূটনৈতিক কোরের ডিন ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। তিনি পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বলেন, ‘ইতালি ও জাপানি নাগরিক নিহতের ঘটনায় অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস পাওয়া গেছে সরকারের পক্ষ থেকে। আমরা আলোচনা করেছি সারা দেশে অতিরিক্ত নিরাপত্তার বিষয়ে, যাতে বিদেশি নাগরিকরা নিরাপদে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে সরকারও আমাদের সঙ্গে একমত।’ এর তিনদিনের মাথায় যুক্তরাজ্য তার দেশের নাগরিকদের ব্যাপারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নতুন এ সতর্কবার্তার কথা জানাল।
সতর্কবার্তায় বিগত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময় পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মানুষের মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, হামলার প্রেক্ষাপটও উল্লেখ করা হয়।