এবার উনি বিদেশি মারার আন্দোলন করছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আন্দোলনের নতুন কৌশল হাতে নিয়েছেন।
urgentPhoto
আজ শনিবার গণভবনে চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, গোপালগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) দেশে থেকে দেশের মানুষ মারেন আর বিদেশে থেকে দেশে যারা বিদেশি মানুষ তাদের মেরে ওনার আন্দোলন। এখন না কি সেই নতুন কৌশল, আন্দোলনের কৌশল তিনি পাল্টেছেন। সেই কৌশল তিনি গ্রহণ করছেন।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘দেশে থেকে দেশের মানুষ হত্যা করেছে। এখন বিদেশে থেকে ওদিকে লবিস্ট রেখেছে। অথবা ইউরোপ, ইউকে, ইউএসএ বিভিন্ন জায়গায় জামায়াত আর বিএনপি মিলে নানা ধরনের অপপ্রচার এবং একটা প্যানিক ছড়ানো। আর বিদেশে বসে বসে বাংলাদেশে বিদেশি যারা যারা আছে তাদের হত্যা করে বিদেশিদের ভেতরে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল স্পষ্ট ব্যবধানে জয়লাভ করে। এ রকম অবস্থায় আজ পাঁচ জেলার আইনজীবীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ‘ন্যায়বিচার পাওয়া একজন মানুষের অধিকার’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি, তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক ঝড় ঝাপ্টা সামলে বর্তমান সরকারকে উন্নয়নের কাজ করে যেতে হচ্ছে জানিয়ে এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা চান। এ ছাড়া বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে বিচারপ্রার্থীদের অধিকার হরণ করেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মানজনক অবস্থানে যায়, তখনই কিন্তু এই বিএনপি-জামায়াত জোট এদের একটা অন্তঃপীড়া শুরু হয়ে যায়। এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এরা উঠেপড়ে লাগে। এ জন্য জনগণকে সচেতন থেকে এ ধরনের কার্যকলাপ যাতে না হয় এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা আমি কামনা করি।’
এ সময় জেলাপর্যায়ে কর্মরত সরকারি কৌঁসুলিদের সম্মানী অনেক কম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মানীর পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।