খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন ৮ নভেম্বর
ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ইস্যু (বিচার্য বিষয়) গঠনের দিন পিছিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ দিন নির্ধারণ করেন। এ দিন আদালতে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমানের সমনের জবাব দাখিল না করায় তাঁর আইনজীবীরা জবাব দাখিল ও ইস্যু গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৮ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।
চলতি বছর ১৪ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জবাব দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহম্মদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবা।
এ মামলায় গত ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া, মৃত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানসহ চারজনকে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন।
এ মামলার শুরুতে খালেদা জিয়াসহ চারজন ছিলেন না। কোকোর মৃত্যুর কারণে ইসলামী শরিয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁরা বিবাদীভুক্ত হন। গত ১৬ মার্চ আদালত তাঁদের বিবাদীভুক্ত করেন।
গত ৮ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার জন্য ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে মামলা করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ডান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।
এরপর ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ঋণ পুনর্তফসিলীকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে ক্রমাগত কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
এ ছাড়া আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।
এ মামলার বিবাদীরা হলেন, ড্যান্ডি ডাইং লিমিডেট, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। কোকোর মৃত্যু হলে তাঁর মা খালেদা জিয়াকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।
এ মামলার আরেক বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।