পলাতক নয়, ‘সেফে’ ছিলেন এমপি লিটন
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দাবি করেছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পলাতক ছিলেন না। বরং জামায়াতে ইসলামীর লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি নিরাপদে ছিলেন।
আজ সোমবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
এমপি লিটন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র ছিল। লাইসেন্স বাতিল করার পর তিনি তা পুলিশের কাছে জমা দেন। কিন্তু অস্ত্র না থাকায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। কারণ তাঁর নির্বাচনী এলাকা সুন্দরগঞ্জ হলো জামায়াতে ইসলামী অধ্যুষিত। সেখানে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও জামায়াত-শিবিরের হাতে নিগৃহীত হয়েছে।
শিশুকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় এতদিন পলাতক থাকার কারণ জানতে চাইলে আইনপ্রণেতা লিটন বলেন, ‘আমি পলাতক ছিলাম না। আপনারা জানেন, আমার অস্ত্র দুইটা নিয়ে নিছে। আমার সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। কারণ আমার জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। যার জন্য আমি একটু সেফে ছিলাম যাতে কোনো জামায়াতের লোক আমাকে হামলা না করতে পারে।’
আপনি কি সারেন্ডার করবেন? জবাবে লিটন বলেন, ‘কোর্টের আইন তো আমাকে মানতেই হবে।’
গত ২ অক্টোবর ভোরে এমপি লিটনের ছোড়া গুলিতে শিশু সৌরভ দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় এমপি লিটন আজ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে তাঁকে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আগাম জামিন আবেদন শুনানি করে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।