কাঁঠালিয়ায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/03/09/photo-1552103167.jpg)
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমাদুল হক মনিরের লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিবরিয়া সিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিবরিয়া সিকদারকে স্থানীয় একটি বাড়িতে অবরুদ্ধও করে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকালে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নামেন প্রার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমাদুল হক মনিরের বাড়ির কাছাকাছি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিবরিয়া সিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে যায় কর্মী-সমর্থকরা।
খবর পেয়ে এমাদুল হক মনিরের কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে কার্যালয়টি ভাঙচুর ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী কিবরিয়া সিকদারের সমর্থক কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম কবির সিকদার, আওয়ামী লীগকর্মী কবির মৃধা, মো. রাসেলসহ ১৫ জন আহত হয়।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত এমাদুল হকের কর্মী-সমর্থক ছাত্রলীগকর্মী সায়িদ জিসান সিকদার, এনায়েত হোসেন ও তানজিল হাসান জনিসহ পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহী প্রার্থী কিবরিয়া সিকদার তালতলা এলাকার কৌশিক সেনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষরা তাঁকে বাড়ির ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমাদুল হক মনির বলেন, ‘কবির সিকদারের লোকজন আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলে আমাদের লোকজন তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে আহত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী কিবরিয়া সিকদারকে ফোন করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিবরিয়া সিকদারের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা জানিয়েছে, এমাদুল হক মনিরের লোকজন অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিবরিয়া সিকদারকে সংঘর্ষের পরও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দুই পক্ষকে দুদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা অবরুদ্ধ প্রার্থীকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেব।