ঝিনাইদহে রেলওয়ের জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারে রেলওয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রেলপুলিশ (জিআরপি) ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করে।
রেলওয়ের পাকশী জোনের ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বারোবাজার রেলক্রসিংসংলগ্ন ও স্থানীয় মাছ বাজারসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির দখলবাজ অবৈধভাবে আধাপাকা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল।
এতে করে রেল চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। দফায় দফায় সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দখলবাজরা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান ওসি।
সবশেষ ৪০টির মতো অবৈধ আধাপাকা দোকান ঘর ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মানোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি আরো জানান, অবৈধ দখলবাজদের উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
স্থানীয়রা জানান, মাদকপল্লী হিসেবে খ্যাত বারোবাজারের মাছ বাজার। এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা ওই এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেল ও সড়কপথে মাদক ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করায় রেল চলাচলে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় রেল কর্তৃপক্ষ কয়েকবার অবৈধ দখলবাজদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। অবশেষে আজ উচ্ছেদ অভিযানে নামে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে উচ্ছেদ করা জায়গা ফের দখল হতে পারে এমন আশঙ্কাও করেছে এলাকাবাসী।