গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি
গ্যাসের দাম আবারও বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ’।
কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিইআরসি আইনের ২(ঝ) উপধারা মতে ট্যারিফ অর্থ এনার্জি সরবরাহ বা এ সম্পর্কিত বিশেষ সেবার মূল্যহার এবং ৩৪(৫) উপধারা মতে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনোরূপ পরিবর্তন ঘটে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘উচ্চ মূল্যে এলএনজি আমদানি করে বিওসির সঙ্গে মিশ্রণ করে বৈধ গ্রাহকদের সরবরাহ করার কথা থাকলেও গ্যাস কোম্পানিগুলো অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিতরণ করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে লোকসানের দায় জনগণের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক কমিশন দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধির জন্য লুটপাটকারীদের প্রস্তাবের পক্ষে গণশুনানি অনুষ্ঠিত করে জনগণের কাছে গণশুনানিকে গণতামাশায় পরিণত করেছে। গড়ে ৬৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করলে দেশের সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির ফলে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয়, সিএনজি শিল্প ধ্বংস ও গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে দুদিন বাদে বিদ্যুতের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে। সার উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কৃষি খাতেও নৈরাজ্য দেখা দেবে। আর এসব নৈরাজ্য ও গণভোগান্তির দায় নিয়ন্ত্রক কমিশনকে বহন করতে হবে। তাই আমরা অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এ গণশুনানি ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিল করে দেশের উদ্বিগ্ন জনসাধারণকে আশু ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন, গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান মো. রাজু আহমেদ খান, মোবাইল ফোন রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বুলু, দৈনিক বাংলার মুখের সম্পাদক সাইদুজ্জামান সেলিমসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।