অনশন ভাঙলেন মেডিকেল ভর্তীচ্ছুরা
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসা ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন ভেঙেছেন। অনশনের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান। আজ অনশন চলাকালে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ সময় আনু মুহাম্মদ গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। আগামী ১৯ অক্টোবর গণতদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। তারপর পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ভর্তীচ্ছুদের অনশন ভাঙার আগে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পরের দিনই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রমাণ করেছে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বড় একটি চক্র জড়িত আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেহেতু তদন্ত কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাই আমাদের পক্ষ থেকে গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
আজ সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি অতিক্রম করছেন উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা মেধার সঠিক মূল্যায়ন করছেন না। সরকার যদি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অবস্থান না নেয় তাহলে আমাদের দায়িত্ব হবে আন্দোলন অব্যাহত রাখা।’
এর আগে অনশনে কুমিল্লা থেকে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এ আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনে সরকার সমর্থন জানালে আমরা উপকৃত হব।’
আইয়ুব আলী নামের এক অভিভাবক বলেন, এ রাষ্ট্র নৈতিকতাহীন ব্যক্তিদের হাতে চলে গেছে। এ কারণেই আমরা দুইদিন অনশন করার পরও দেশের দায়িত্বশীল মহল নজর দেয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব প্রমাণাদি উপস্থাপন করার পরও শিক্ষার্থীদের দাবি মানা হয়নি।