রামু বৌদ্ধমন্দিরে হামলার বিচার শুরু

দীর্ঘ তিন বছর পর কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধমন্দিরে ভয়াবহ হামলার মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের বিশেষ বিচারিক আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘটিত কক্সবাজারের রামুসহ কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধমন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। তার মধ্যে একটি মামলা নিষ্পত্তি হলেও বাকি ১৮টি মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এসব মামলার মধ্যে রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এই মামলা দিয়েই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। মামলার বাদী তৎকালীন রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল দাশ। এই মামলার আসামি ৭৪ জন। এর মধ্যে জামিনে রয়েছে ৬০ জন। বাকি ১৪ জন পলাতক।
মামলায় আটজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তারা সবাই বৌদ্ধধর্মের লোক। রোববার প্রথম দফায় পাঁচজন তাদের সাক্ষ্য দেন আদালতে। বিরতির পর আরো তিনজন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণকালে ৬০ আসামির মধ্যে ৫৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল আলম বাহাদুর ও সাংবাদিক এস এম জাফর।
আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমতাজ আহামদ বলেন, আজ আটজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ এনে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহার ও ৩৪টি বসতিতে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফের আরো সাতটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।