স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত : মামলা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে স্কুলছাত্রীর মামা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন তৌফিক (২৫), তাঁর বাবা হুমায়ুন মিয়া, মা ঝরনা আক্তার, তিন বন্ধু সাইফুল, মামুন ও সাদ্দাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর মামুনকে গতকাল রাতে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে স্কুলছাত্রীর ওপর হামলায় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নে নান্দলা এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন শিক্ষক মো. আমিনুল হক, শিক্ষানুরাগী হাজি আনোয়ার উদ্দিন, শামসুদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ইবনে আরিফ, চৌদ্দশত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৌফিক প্রায়ই স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। তৌফিকের বিরুদ্ধে এর আগেও বখাটেপনার অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আগে একাধিকবার সালিসে তৌফিকের বিচার হলেও সে নিবৃত্ত হয়নি।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতকাল রোববার স্কুলের সামনে ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন এক তরুণ। সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের নান্দলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে প্রথমে জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীর বাড়ি কটিয়াদী উপজেলায়। সে ওই গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত।