সুবীর নন্দীকে আজ রাতে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।
তিনি বলেন, ‘আজ রাত সাড়ে ৮টায় সুবীর দাদাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। তিনি এখনো হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। ’
বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তৌফিক এলাহির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন সুবীর নন্দী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ১২ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী ও তাঁর পরিবার। পয়লা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে উত্তরায় কাছাকাছি আসতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুবীর নন্দীর। এর পর সেখান থেকে সরাসরি সিএমএইচে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। এখনো তাঁর অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো নয়। এ ছাড়া তাঁর কিডনি ও ফুসফুসে প্রদাহ রয়েছে। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সংগীতিশল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।
দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।
সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো—‘ও আমার উড়াল পঙ্খী রে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন’, ‘বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি’, ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আশা ছিল মনে মনে’ ইত্যাদি।