মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মাটিচাপা দিতে মরিয়া সরকার
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মধ্যরাতের ভোটের সরকার বলেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মাটিচাপা দিয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘কিন্তু জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর এই স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। দেশের আপামর জনগণের আস্থাভাজন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘একদিকে মধ্যরাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের জনগণ যেমন ফুঁসছে, তেমনি অন্যদিকে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী সম্পূর্ণ নির্দোষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি এবং চিকিৎসা না দিয়ে তাঁকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রে জনগণ প্রচণ্ড বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।’
মিছিলে আরো অংশ নেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান, ফরিদ আহমেদ মানিক, কবির উদ্দিন মাস্টার, তারিকুল ইসলাম মধু, জহিরুল ইসলাম বাশার, এ কে এম ওয়াজেদ, সাইদুল ইসলাম টুলু, সাইফুল ইসলাম রাশেদ, এম এ হান্নান, সদস্য হেমায়েত উদ্দিন হিমু, শরীফুল ইসলাম রিপন, শাহীন উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।