সাবেক নেতার আঙুল কর্তন, কলারোয়া ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার চার আঙুল কাটার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম তুষারের ওপর হামলা করে ধারালো দায়ের কোপে তাঁর চারটি আঙুল কেটে ফেলার ঘৃণিত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি শেখ সাগর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আংশিক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাবু, মন্টু ও ইমাম নামের ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দুই মাস আগে শেখ সাগর হোসেনকে সভাপতি, মেহেদি হাসান নাইসকে সাধারণ সম্পাদক ও শামীমুজ্জামান টিপুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তিন সদস্যের কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই কমিটি বিলুপ্ত করা হলো বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, আজ সকালে কলারোয়ার মুরারিকাঠি গ্রামে বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে যান ইলেকট্রনিক্স দোকানি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জি এম তুষার। সেখানে তুষারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ছাত্রলীগের পলাশ, সিজান ও মন্টুর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুই পক্ষই কমবেশি আহত হয়।
চেয়ারম্যান জানান, আহত তুষার কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এদিকে তাঁর হাতে ছাত্রলীগের তিন নেতা মার খেয়েছেন এমন খবরে উত্তেজিত হয়ে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস ও মন্টু কয়েকজনকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে তুষারের ওপর হামলা করে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলামের সামনেই মেহেদি তাঁর কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ মারতে গেলে তুষার ডান হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তাঁর ডান হাতের চারটি আঙুল মূহূর্তে কেটে মেঝেতে পড়ে যায়। দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেলে তাঁকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।