‘হাজারীবাগের বাংলা প্রোটিন’ কারখানায় অভিযান, দণ্ড
রাজধানীর হাজারীবাগের একটি কারখানা থেকে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি মুরগি ও মাছের ৫০ হাজার কেজি খাবার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব খাবার খামারিদের কাছে ‘হাজারীবাগের বাংলা প্রোটিন’ নামে পরিচিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আজ শুক্রবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় বেড়িবাঁধ এলাকার ঝাউচরে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানা ‘পুতুল এন্টারপ্রাইজ’-এর মালিক আবুল কালামকে (৫১) দুই বৎসরের কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কারখানার কর্মচারী মো. আবদুল জলিল (২০), মো. হাসান শেখ (২১) ও মো. ফারুক হাওলাদারকে (৫৫) ৫০ হাজার করে টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. মো. লুৎফর রহমান।
র্যাব ওই কারাখানার কার্যক্রম বেশ কিছুদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিল উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ওই করাখানার এক বস্তা মুরগির খাবার (পোলট্রিফিড) ও এক বস্তা মাছের খাবার (ফিস ফিড) কিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা করা হয়। খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলেও পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, মাছের খাবারে ক্রোমিয়াম রয়েছে প্রায় চার হাজার ৯৭১ পিপিএম এবং মুরগির খাবারে রয়েছে চার হাজার ২০৫ দশমিক ৭০ পিপিএম। যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক।
মুরগি ও মাছের উন্নতমানের খাবার বাজারে ১০০ কেজির মূল্য সাড়ে চার হাজার টাকা হলেও ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে তৈরি হাজারীবাগের বাংলা প্রোটিনের দাম মাত্র তিন হাজার টাকা।