ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের হাফেজ ও কারিরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মুসলিম বিশ্বে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকার কুরআন ও সুন্নাহর খেদমতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারায় আজ বাংলাদেশ কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পেরেছে।’

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব স্থানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্মমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোরআন ও সুন্নাহর খেদমতে যুগান্তকারী অবদান রেখে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমতে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছেন।’

বাংলাদেশি হাফেজ ও কারিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও কিরআত প্রতিযোগিতায় প্রায় প্রতি বছরই পুরস্কৃত হচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের হাফেজ ও কারিরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মুসলিম বিশ্বে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। একটি অন-আরব দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এসব অর্জন বিশ্বসভায় প্রশংসার দাবি রাখে।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ‘মানুষকে সুন্দর মানুষ বানানোর জন্য নায়েবে রাসুল হিসেবে আলেমরা ভূমিকা রাখতে পারেন। নায়েবে রাসুল হিসেবে হাফেজদের গড়ে তোলার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করবে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্ধ-শতাধিক বাংলাদেশি হাফেজকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া হিফজ প্রতিযোগিতার বিচারকসহ খ্যাতনামা হিফজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হিফজ প্রতিযোগিতার ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ মোস্তফা আইজ্জাত, ইরান কালাচারাল সেন্টারের পরিচালক আসগর খসরুয়াবাদী, বাহরাইন থেকে আগত জাস্টিস, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ও ওয়াক্ফ মন্ত্রণালয়ের আল কোরআন ডাইরেক্টরেটের পরিচালক আবদুল্লাহ আবদুল আজিজ কাহতান আল ওমারি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল কাদেরী প্রমুখ।