‘স্ত্রীকে সন্দেহের জেরে শাশুড়িকে খুন’, পলাতক কনস্টেবল

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক বৃদ্ধাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন বৃদ্ধার স্বামী ও ছেলেমেয়ে। গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা শহরের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন বৃদ্ধার মেয়েজামাই।
নিহতের নাম শেফালী অধিকারী। তিনি মাদ্রাসাপাড়া এলাকার সদানন্দ অধিকারীর স্ত্রী। এই দম্পতির মেয়ে ফাল্গুনী অধিকারী ও ছেলে আনন্দ অধিকারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আহত সদানন্দ অধিকারীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নয় বছর আগে ফাল্গুনী অধিকারীর সঙ্গে খুলনার দৌলতপুর উপজেলার অসীম কুমার অধিকারীর বিয়ে হয়। অসীম পুলিশের সিআইডি কনস্টেবল। তাদের ছয় বছরের একটি ছেলে আছে। অসীম বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত আছেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির কাছেই কলেজপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন অসীম।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অসীম স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। গতকাল শুক্রবার রাতেও মারধর করলে ফাল্গুনি পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন।
এরপর রাত দেড়টার সময় অসীম শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন। স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিলে তিনি হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে ছুরিকাঘাতে আহত হন শেফালী অধিকারী ও আনন্দ অধিকারী। সদানন্দ অধিকারীকেও আহত করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই শেফালী অধিকারী মারা যান বলে জানায় পুলিশ।
শেফালী অধিকারী ও আনন্দ অধিকারীকে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।