শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় অসদাচরণ, স্বামী ও ভাইসহ কারাগারে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যান মনীষা রাণী বিশ্বাস। অভিযোগ উঠে পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নফাঁস হয় আর করে স্বামী ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রশ্নের উত্তর মেলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম! গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের হাতে এ অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ শুক্রবার ঝালকাঠিতে ওই ঘটনা ঘটে। স্বামী ও ভাইসহ ওই নারীকে তৎক্ষণাৎ এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনীষার স্বামীর নাম অসীম বিশ্বাস ও ভাইয়ের নাম কিশোর দেউরি।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর পরপরই ঝালকাঠী সরকারি মহিলা কলেজের পাশ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলাম, রাশেদ গাজী ও পিয়াস হাওলাদার নামে ৩ জনকে আটক করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘সরকারি পরীক্ষা আইনে ওই তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। তাদেরকে থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া মনিষা রানী বিশ্বাস, তার স্বামী আসীম বিশ্বাস ও তার ভাই কিশোর দেউরিকে থানায় আনার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পরীক্ষার্থী মনীষা রানী বিশ্বাস, তার স্বামী আসীম বিশ্বাস ও তার ভাই কিশোর দেউরিকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার। তবে ঘটনাস্থলের কাছেই মনীষা রানী বিশ্বাসের বাবা উপস্থিত থাকলেও তিনি প্রশ্নফাঁসে জড়িত নয় বলে জানায় পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আশিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষা শুরুর আগেই সদর উপজেলার ইছানীল জেবিআই মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় পরীক্ষার্থী মনিষা ও তাঁর স্বজনরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে এনে উত্তর তৈরি করছিলেন। ওই উত্তর পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রে সরবরাহের চেষ্টা করেন তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।