কুমিল্লায় চার খুন, লাশ হস্তান্তর, পাল্টাপাল্টি মামলা
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় মা ও ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা এবং পরে ঘাতক সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত আরেকজনসহ মোট চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রাধানগর গ্রামে নিহত ওই চারজনের লাশ নিয়ে যায় পুলিশ। সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে লাশগুলো পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করেন। এ সময় নিহতদের স্বজনের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতদের স্বজনরা পুলিশের কাছ থেকে লাশ বুঝে নিয়েছেন। এর মধ্যে আনোয়ারা ও তাঁর ছেলে হানিফের লাশ তাদের গ্রাম তালতলায় এবং নাজমার লাশ রাধানগর গ্রামে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন হত্যাকারী মোখলেসের লাশ রাধানগর গ্রামে দাফন করা হবে।
এদিকে নিহত নাজমার দাফন সম্পন্নর জন্য তাঁর পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন চেয়ারম্যান সফিকুল।
এ ঘটনার মামলা প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুরো ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আসলে কী ঘটেছিল তা আমরা নিশ্চিত না। আমরা এলাকাবাসী চাই, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হোক। আর যারা মা-বাবা হারিয়েছে, তারা সুষ্ঠু বিচার চায়।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, গতকাল বুধবার সকালে রাধানগর গ্রামের রিকশাচালক মোখলেস দুই নারী ও এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে গণপিটুনিতে মোখলেসও নিহত হয়।
এ ঘটনায় আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজনকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
এ ঘটনায় নিহত নাজমা বেগমের ভাই রুবেল হোসেন রিকশাচালক মোখলেসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে মোখলেসের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করে পৃথক হত্যা মামলা করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে।