‘আমার বড় সফলতা জঙ্গি দমন’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সফলতা জঙ্গি দমন বলে আমি মনে করি। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ এখন জঙ্গি দমনের রোলমডেল।’
আজ বৃহস্পতিবার কর্মজীবনের শেষ কার্যদিবসে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘৮০-৯০টি দেশ থেকে আমরা এপ্রিসিয়েশন লেটার পেয়েছি। তারা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সুন্দর বলেছেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘হঠাৎ করে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা হলো। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানো ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা উতরে গেছি টিম ডিএমপির স্পিরিটের কারণে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া গত চার বছর সাত মাস ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, ‘এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমি ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরমের ব্যবস্থা চালু করি। বর্তমানে ঢাকার ৭২ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের অপরাধ করে ঢাকায় লুকিয়ে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার বন্ধ, থানায় জিডির ফরমেট করা ফরম, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম চালু করেছি। কমিশনার হিসেবে আমি শতভাগ সফল হয়েছি, তা বলব না। তবে অনেক পরিবর্তন এনেছি।’
অনেকেই অভিযোগ করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছে- এমন কথার জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সব দায়িত্ব তারা সংবিধান অনুযায়ী পালন করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কখনো রাজনৈতিক উদ্দেশে কোনো কাজ করেনি। এসব কথা মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক। ঢাকায় যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন বাসে আগুন দিয়েছে, মানুষকে রাস্তায় মেরেছে তখন আমরা জনগণের জানমাল রক্ষায় জড়িতদের আটক করেছি। এটাকে যদি কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলে তাহলে সেটা অযাচিত ব্লেম দেওয়া।’
পোশাক পরা অবস্থায় পুলিশ অপরাধমূলক কাজ করে। কখনো কখনো দেখা যায় পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে। কিন্তু সেই অপরাধের দায় পুলিশ নেয় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘সব পেশায় দুর্নীতিবাজরা থাকে। এমতাবস্তায় কেউ অপরাধ করলে তার দায়ভার ব্যক্তির। এই দায় পুলিশ নেবে না।’
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে এসে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজ আমার শেষ কার্যদিবস। আমি এই পদ এবং বিশেষ করে এই পবিত্র পোশাককে খুব মিস করব। পুলিশের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সময় দিতে পারিনি। এখন থেকে তাদের সময় দেব।’