কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামের পথে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুতুবদিয়া থেকে ‘মনি’ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজে করে রওনা দেন তারা।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এমভি আব্দুল্লাহ কুতুবদিয়াতে নোঙর করেছিল। মুক্তিপণ পাওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল রাতে জলদস্যুরা এমভি আব্দুল্লাহ থেকে নেমে যায়। এরপর জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছে। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে আবার কার্গো লোড করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুবদিয়ায় পৌঁছে এমভি আব্দুল্লাহ। সেখানে সাড়ে ১০ হাজার টন চুনাপাথর আনলোড করা করার কাজ চলছে।
তার আগে কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা জাহাজের ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জাহাজের মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে। মুক্তিপণ বুঝে নেওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার ও প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়।