খুন করে পালানোর সময় ‘খুনিকে’ও পিটিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালানোর সময় উত্তেজিত জনতা খুনি সন্দেহে আরেক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আমিরপুর গ্রামে হাসানুজ্জামান হাসান আলীর (২৫) বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।’
ছুরিকাঘাতে হাসান মারা গেছেন। আর ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন আকবর আলী (৩৬)। আহত হয়েছেন হাসানের বাবা হামিদুল ইসলাম এবং ভাগ্নি সুমাইয়া। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আকবরের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে। তিনি সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন এবং সবজির ব্যবসা করতেন।
আজ শনিবার সকালে হাসানের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গভীর রাতে আকবর আলী আমিরপুরে হাসানের বাড়িতে গিয়ে হানা দেন। তিনি হাসানের ভাগ্নি সুমাইয়াকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় চিৎকার করলে হাসান ও তাঁর বাবা হামিদুল এগিয়ে আসেন। তখন আকবর তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতা ধাওয়া দিয়ে আকবরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফকরুল আলম খান ও পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ দুটি লাশই উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।