লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। জীবদ্দশায় অভিজিতের এটাই ইচ্ছে ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১টায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল খানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। অধ্যক্ষ ইসমাইল খানের কাছ থেকে তা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামীম আরা।   

এর আগে প্রথমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ও পরে টিএসসি চত্বরে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। অভিজিৎ রায়ের কফিনে শেষবারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা। পরে তাঁর মরদেহ মগবাজারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিজিতের মা শেফালী রায় শেষবারের মতো ছেলের মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অভিজিতের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শেফালী রায় অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এরপরই অভিজিতের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

গত বৃহস্পতিবার টিএসএসির কাছে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন মার্কিন নাগরিক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়। তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও হামলায় গুরুতর আহত হন। রাফিদা এখনো স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গত শুক্রবার মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায় হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় ব্রিটিশ দূতাবাস থেকেও উদ্বেগ জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য এরই মধ্যে অভিজিতের পরিবার ও বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এফবিআইয়ের সদস্যরা।