আসামিকে হত্যায় জেলারসহ দুই কারারক্ষী কারাগারে
মেহেরপুর জেলা কারাগারে জামিরুল ইসলাম নামের এক আসামিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক জেলার আক্তার হোসেন শেখসহ দুই কারারক্ষীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আব্দুস সালাম এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মেহেরপুর জেলা কারাগারের সাবেক জেলার আক্তার হোসেন শেখ, প্রধান কারারক্ষী আলামিন হোসেন ও কারারক্ষী গনজের আলী।
আজ সন্ধ্যায় পুলিশ প্রহরায় তাদের মেহেরপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
জেলার আক্তার হোসেন শেখ বর্তমানে পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেলার, আলামিন হোসেন বর্তমানে যশোর কারাগারে প্রধান কারারক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কারারক্ষী গনজের আলী অবসর নিয়েছেন গত বছর।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর মেহেরপুর জেলা ডিবি পুলিশের হাতে গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের জামিরুল ইসলাম ফেনসিডিলসহ আটক হন। ওই দিন তাঁকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। ১৭ অক্টোবর দুপুরে গলায় গামছা দিয়ে কারাগারের রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জামিরুল। তাঁকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জামিরুলের মৃত্যু সনদে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে উল্লেখ করে।
এ ঘটনার পরের দিন মেহেরপুর আদালতে নিহত জামিরুলের স্ত্রী শাহিনা খাতুন মেহেরপুর কারাগারে কর্মরত জেলার আক্তার হোসেন শেখ, প্রধান কারারক্ষী আলামিন হোসেন ও কারারক্ষী গনজের আলীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
তিন বছরে পুলিশ তিনবার মামলাটির তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দিলেও আদালত তা গ্রহণ না করে উচ্চতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সিআইডির যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা সারমিন দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যার কথা উল্লেখ করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাবেক জেলার আক্তার হোসেন শেখসহ দুই কারারক্ষীকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।