সার আত্মসাতের মামলায় বিএডিসির সাবেক কর্মকর্তা কারাগারে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/15/photo-1447591838.jpg)
কিশোরগঞ্জে সার আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সাবেক এক কর্মকর্তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
কিশোরগঞ্জ জেলায় বিএডিসি (সার) কার্যালয়ের সাবেক যুগ্ম পরিচালক মো. আহাদ আলী দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ রোববার সকালে বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে বিএডিসির ভৈরব গুদাম থেকে ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যের সার উত্তোলন ও তা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় বিএডিসি (সার) কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে বিএডিসির চার কর্মকর্তা-কর্মচারী, তিন সার ব্যবসায়ীসহ মোট সাতজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও প্রচলিত দণ্ডবিধি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর পুলিশ মামলার প্রধান আসামি বিএডিসি (সার) ভৈরব কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম ও গুদামরক্ষক মো. খোরশেদ আলমকে আটক করে। পরে মামলার অপর আসামি গুদামের শ্রমিক সরদার রতন মিয়া বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে মামলার বাকি আসামি তিন সার ব্যবসায়ী হারিছুল হক, লিটন রায় সারোয়ারুল আলম শুরু থেকেই পলাতক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাল কমল চন্দ্র চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন রেনু আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী আবদুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আবদুর রহমান জানান, খুব তাড়াতাড়িই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হবে।