‘স্টুডেন্ট লেলিয়ে দিব’
ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান রোজা প্রোপার্টিজের জমি দখল সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে দুই সাংবাদিককে। জমির পাশেই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী ও কর্মচারী তাঁদের হেনস্তা করে।
জমির পাশে থাকা দেয়াল ও অন্যান্য ভবন ভাঙচুরের ছবি তুলছিলেন ফটোসাংবাদিক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পাশে ছিলেন প্রতিবেদক আহমেদ আল আমীন। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক পরিহিত এক যুবক এসে তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এতে রাজি হওয়ার পরও ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে থাকা একাধিক যুবক ও শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে থাকে। যুবক ও শিক্ষার্থীদের দল জানতে চায়, কেন এ ভাঙা অংশের ছবি তোলা হলো? এর পরেই তারা মারমুখী অবস্থান নেয়। স্কুলের পোশাক পরা ১৪-১৫ বছরের এক ছেলে এই প্রতিবেদকের কাঁধে হাত দিয়ে ধমকায়।
নিরাপত্তারক্ষী প্রতিবেদক ও ফটোসাংবাদিককে নিয়ে দোতলায় অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে নিয়ে যান। নিরাপত্তারক্ষী কক্ষের ভেতরে ঢুকে দুই মিনিট পর বেরিয়ে এসে বলেন, ‘আপনারা নিচে অপেক্ষা করুন। স্যার মিটিং-এ আছেন।’
পরে নিরাপত্তাকর্মী দুই সাংবাদিককে মাঠে নিয়ে যান। এ সময় সেই যুবক ও ছাত্ররা তাদের ঘিরে ধরে। তারা ক্যামেরায় তোলা ছবি মুছে ফেলার দাবি জানায়। এক যুবক চিৎকার করে দাবি করতে থাকেন, ‘ওই জমি আমাদের বুঝছেন? সাহস কত আপনাদের!’ তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি ... করলে স্টুডেন্ট লেলিয়ে দেব।’
নাম-পরিচয় জানতে চাইলে যুবকটি আরো ক্ষেপে যান। মাঠের এক পাশে একাধিক শিক্ষক বিষয়টি দেখলেও তাঁরা যুবক আর ছাত্রদের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করেননি।
অধ্যক্ষ অপেক্ষা করতে বলেছেন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী এবার বলেন, ‘আপনারা চলে যান। স্যার দেখা করবেন না।’