আমাদের আন্দোলনকে কেউ থামাতে পারবে না : ড. কামাল

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সবাইকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন হবে ইতিবাচক, আন্দোলন হবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য। এই ধরনের আন্দোলনকে কেউ শক্তি দিয়ে থামাতে পারবে না, ধ্বংস করতে পারবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আর মাত্র এক-দেড় বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর। সেটাকে সামনে রেখে আসেন আমরা জেলায় জেলায় যাই। আক্রমণাত্মক কথা না বলে তাদের বোঝাই যে শহীদরা কিসের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধে মূল্য দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন দেশে বাস করা।’
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি বলি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, দেশের মালিকানা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা মনে করব আমাদের ৫০ বছরের স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হয়েছে। চলেন, এটা আমরা সবাই মিলে করি, প্রত্যেক জেলায়, প্রত্যেক গ্রামে-পাড়ায়-মহল্লায়। ইনশা আল্লাহ আমি মনে করি আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণের মধ্যে যখন ঐকমত্য হয়েছে, সেই ঐকমত্যের সামনে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বন্দুক নিয়ে কামান নিয়ে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বাঙালি যখন ঐকমত্যে আসে সেই শক্তি হয় সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তির কাছাকাছি আমরা অলরেডি এসে গেছি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষা করে দেখেন জেলায়-জেলায়, গ্রামে-গ্রামে গিয়ে দেখেন। মানুষ একাত্তরে যে স্বপ্ন দেখেছিল, প্রত্যেক পরিবারে শহীদ হয়েছিল। আমি যেখানে যাই জিজ্ঞাসা করি এখানে শহীদদের কবর আছে কি না। সবাই বলে প্রতিটা গ্রামে শহীদদের কবর আছে। এত শহীদরা কেন জীবন দিয়েছিল? ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? কারণ এই দেশের জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেই মালিকানার জন্য কত মূল্য দেওয়া হয়েছে।’
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।