স্ত্রী নির্যাতন মামলা স্থগিত, যাচ্ছে না কোর্ট মার্শালে
ঢাবির ছাত্রী নুসরাত জাহান তুষ্টিকে নির্যাতনের ঘটনায় তাঁর স্বামী মেজর নাজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ আদেশের ফলে তুষ্টির দায়ের করা মামলাটি কোর্ট মার্শালে নেওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্থগিতই থাকল বলে জানিয়েছেন তুষ্টির আইনজীবী অনীক আর হক।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা এ মামলার বিচার কোর্ট মার্শালে চলতে পারে কি না—এমন প্রশ্নে করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে গত ১২ আগস্ট হাইকোর্ট তুষ্টিকে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলা স্থগিত করে দেন। সে সঙ্গে ওই মামলার নথি কোর্ট মার্শালে বিচারের জন্য পাঠাতে সেনাসদর দপ্তর থেকে যে চিঠি টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছিল, তার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যৌতুকের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে পেটান তাঁর স্বামী মেজর নাজির উদ্দিন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২ এপ্রিল টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করে নুসরাত জাহানের পরিবার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেয়েকে নির্যাতনের হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নুসরাতের বাবা নুরুল ইসলাম, মা শাহনাজ আক্তার ও ভাই মুঈদ হাসানও মারধরের শিকার হন।
ওই সময় নাজির উদ্দিন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে নাজির উদ্দিন সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় মার্শাল কোর্টে বিচার করার জন্য নুসরাতের পরিবারের করা মামলার নথিপত্র চেয়ে গত ১১ মে এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে একটি চিঠি দেয় সেনাসদর দপ্তর।