ভৈরবে বিএনপির দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, নেতা অবরুদ্ধ

ভৈরবে বিএনপির দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. শরীফুল আলম উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজিত নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে শরীফুল আলমকে নিরাপদে সরিয়ে দেন। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
urgentPhoto
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতা শরীফুল আলম ভৈরবের কমলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডাকবাংলো চত্বরে সভা করছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতা-কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হামলা প্রতিহতের চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় শরীফুল আলমকে ভৈরব ত্যাগ করার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শহীদ আইভি রহমান ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয় সাদেক হোসেনের সমর্থকরা। অপরদিকে শরীফুল আলম সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয় ডাকবাংলো সংলগ্ন মহাসড়কে। এতে করে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শরীফুল আলম।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, পুলিশ গিয়ে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে অবরুদ্ধ শরীফুল আলমকে নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগে সহায়তা করে।
এ ব্যাপারে শরীফুল আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, আসন্ন ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বাঁধা সৃষ্টির জন্যই এ কাজ করা হয়েছে। সরকারি দলের নীলনকশা বাস্তবায়নে দলের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু আওয়ামী দালাল এর সঙ্গে যুক্ত। তারাই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।