মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ : ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
মাগুরায় মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনায় করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন সেন, জেলা সমবায় লীগের সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান তোতাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আজ মঙ্গলবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ওই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে এজাহারের বাইরে নতুন করে তিনজনকে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন জেলা সমবায় লীগের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান তোতা, মো. মুন্না ও মো. আইনাল। মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আজিবর শেখকে। তিনি গত ১৭ আগস্ট রাতে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে‘ নিহত হন এবং নাম ভুল থাকার কারণে ১৬ নম্বর আসামি রানাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক জানান, দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমতিয়াজুল ইসলামের আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় গত ২৩ জুলাই যুবলীগের কামরুল ভূঁইয়া ও আজিবর শেখ পক্ষের মধ্যে মাদক, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন (৩৫) তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশুর জন্ম দেন। ওই ঘটনায় গুলি ও বোমায় আহত নাজমার চাচা শ্বশুর মমিন ভূঁইয়া (৬৫) মারা যান।
ওই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন সেনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
এই মামলার ১৬ জন আসামির মধ্যে এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন সেনসহ ১৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা এখন জেলহাজতে রয়েছে। মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি আলী আকবর, সাক্ষী নাজমা বেগম ও মিরাজ হোসেন।
এ ছাড়া মামলার তিন নম্বর আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আজিবর শেখ গত ১৭ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে‘ নিহত হয়। বাকি এক আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।