দেশে ফিরল আরো ৪৮ অভিবাসন প্রত্যাশী

মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে অভিবাসন প্রত্যাশী আরো ৪৮ জন বাংলাদেশি। মিয়ানমারের ঢেঁকিবুনিয়ায় পতাকা বৈঠক শেষে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় তাঁদের দেশে নিয়ে আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতিনিধিদল।
মিয়ানমারের ঢেঁকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে পতাকা বৈঠকে ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
প্রতিনিধিদলের পর্যবেক্ষক ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
অপরদিকে মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মংডু ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক চ্যা নেইং।
বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে যদি আরো বাংলাদেশি থাকে তাদেরও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে। বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নয়ন ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, দেশে ফেরত আসা ৪৮ জন ১৩টি জেলার অধিবাসী। এর মধ্যে কক্সবাজারের ১৯ জন রয়েছে। তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত খাদ্য, চিকিৎসা ও যাতায়াত খরচসহ সব ধরনের সহায়তা দেবে আইওএম।
ফিরিয়ে আনা ৪৮ অভিবাসন প্রত্যাশীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আজ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরিতে রেখে অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে তাদের জবানবন্দি নেবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এরপর আগামী শুক্রবার নাগাদ সবাইকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান আইওএম কর্মকর্তা আসিফ মুনীর।
এর আগে মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্য থেকে ছয় দফায় ৭২৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আজকের ৪৮ জনসহ মোট ৭৭৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জুন ১৫০, ১৯ জুন ৩৭, ২২ জুলাই ১৫৫, ১০ আগস্ট ১৫৯, ২৫ আগস্ট ১২৫ ও ১২ অক্টোবর ১০৩ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।