একদিনে দুবার বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি গ্রাম গাড়াবাড়িয়া। সেখানে গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় নূর হোসেনের মেয়ে স্কুলছাত্রী শুকতারার সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল বাসদ আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনের। এমন সময়ে বাগড়া দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বন্ধ করে দেন স্কুলছাত্রীর বিয়ে।
রাতে জাল জন্মসনদ দিয়ে কাজি অফিসে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে আবার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। সেখানেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে। এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বরের বাবা বাসদ আলীকে। আর কনের দাদা আখের আলীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় এক হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের শুকতারা ও পাশের কাথুলী গ্রামের আমজাদ হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল আমিন মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে রাত ৯টার দিকে জাল জন্মসনদ নিয়ে দুই পরিবার মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি কাজি অফিসে বিয়ে দিতে যান। এ সময় মেয়ের জন্মসনদ দেখে সন্দেহ হলে কাজি অফিসের সহকারী রুস্তম জেলা প্রশাসক (ডিসি) শফিকুল ইসলামকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঠান শফিকুল ইসলাম।
শাহীনুজ্জামান আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। পাশাপাশি বরের বাবা ও কনের দাদাকে জেল-জরিমানা করেন।