কিশোরগঞ্জে আ. লীগ-বিএনপির চার ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সরলেন

কিশোরগঞ্জ, কটিয়াদি ও হোসেনপুর পৌরসভা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার ‘বিদ্রোহী’ মেয়র পদপ্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী ও ভৈরবে এক স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আজ রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ ছয় মেয়র পদপ্রার্থী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন পৌরসভায় ১৫ সাধারণ কাউন্সিলর এবং একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল আলম এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ ও জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ফারুক আহমেদ খান তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বিএনপি নেতা ইসরাইল মিয়া আজ সকালে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রধানের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। জেলা শহরের একরামপুরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইসরাইল মিয়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এ ছাড়া কটিয়াদি পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ তানভিরুল ইসলাম ও বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ গোলাম ফারুক চাষী, হোসেনপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ রাইসুল হাসান কেনেডি এবং ভৈরব পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আব্দুল লতিফ আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাতজন এবং একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী, বাজিতপুর পৌরসভায় তিনজন সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এবং ভৈরব পৌরসভায় পাঁচজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
তবে করিমগঞ্জ ও কুলিয়ারচর পৌরসভায় কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহর করেননি।