কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংগীত গাইলেন নতুন বাংলাদেশিরা
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’-এই প্রথমবার পঞ্চগড়ের সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করল। সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি ছিটমহলের অভ্যন্তরে মফিজার রহমান কলেজ মাঠে এ বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
urgentPhoto
বিকেল ৩টায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুটি হেলিকপ্টারে করে সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছান।
এরপর শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন। রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও তাঁর দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কণ্ঠ মেলান দুই মন্ত্রী এবং পঞ্চগড়ের সদ্য বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের বাসিন্দারা। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ দুই শতাধিক শিল্পী দেশের গান ও স্বাধীন বাংলা বেতারের গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তারানা হালিম গাড়াতি এলাকায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি মোবাইল ফোন টাওয়ার উদ্বোধন করেন।
এ সময় পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোনের সিও রাজীব শেঠী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গ্রামীণফোন ও বেসকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল যৌথভাবে নতুন বাংলাদেশিদের প্রথম বিজয় দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।