কাঁদতে কাঁদতে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের হাবিব
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও দুইবারের সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা, ‘উগ্র ও সাম্প্রদায়িক’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুগপৎ লড়াই এবং নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার কথা বলে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাবিব এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। তাঁর পাশে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। হাবিবুর রহমান নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ নয়, বিকল্প প্রার্থী হিসেবেই দাবি করে আসছিলেন।
আজ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন দীপংকর তালুকদার। তিনি হাবিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও অতীত অবদানের কথা স্বীকার করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাবিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও কখনোই নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ভাবিনি, সব সময় বিকল্প প্রার্থী হিসেবেই বলেছি। আজ দলের বৃহত্তর স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের চিহ্নিত ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার স্বার্থেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোনো চাপের কারণে সরে দাঁড়াননি বলে দাবি করেছেন বিপুলসংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী পরিবেষ্টিত হাবিব।
হাবিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে তাঁর পক্ষে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহী নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর অনুরোধ মেনে নিয়ে সব বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানান। দীপংকর তালুকদার সঙ্গে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এরই মধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত অমর কুমার দে-কেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।