বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলে, জামাতাসহ ১১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/24/photo-1450955167.jpg)
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে, জামাতাসহ ১১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের কর্মী এ বি এম জসীম। বিচারক আব্বাস হোসেন নালিশি মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় প্রার্থী শাহাদাতের ছেলে নাসির আল মামুন, জামাতা আরিফ খানসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৭০ জনকে।
মামলার অভিযোগে বাদী এ বি এম জসীম উল্লেখ করেন, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের পক্ষে নৌকা প্রতীকের প্রচার চালানোর সময় অপর মেয়র পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেনের কর্মীরা তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে পশ্চিম বরগুনা এলাকার সোনিয়া সিনেমা হলের সামনে টানানো বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ পোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করে।
মামলার অভিযোগে বাদী এ বি এম জসীম আরো জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি তাঁর মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাই তিনি আদালতের আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর একটি শান্তিপূর্ণ পথসভায় হামলা চালিয়ে তাঁর মেয়ে ও জামাতাসহ অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থককে আহত করেছে মহারাজ সমর্থিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মী- সমর্থকরা। অথচ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের দিন যাতে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা তাঁর পক্ষে ভোট প্রার্থনা না করতে পারে সেই অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পাশাপাশি হামলা, হুমকিসহ নানা রকমের অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ সব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো শাহাদাতের এবং তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকসহ তিনটি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি একাধিক কর্মীকে আহত করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত যে কেউ আইনের আশ্রয় নিতেই পারে। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের এখতিয়ার একমাত্র আদালতের।