মংলায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর আ. লীগে যোগদান

মংলায় বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহমুদ হাসান ছোট মনির নেতৃত্বে মিঠাখালী ইউনিয়নের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এক জনসভায় এসে বিএনপি নেতা-কর্মীরা দলটিতে যোগ দেন। এক সঙ্গে এত নেতা-কর্মীর আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মংলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিনদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জনসভা আয়োজন করে আসছিল। এরই ধারবাহিকতায় আজ বিকেল ৩টায় মিঠাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপসম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শরিফুন হাসান বীথি, মংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিঠাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার গাজী।
বিকেল ৪টায় মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরো যোগ দেন আন্ধারয়িা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওদুত শেখ, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নরেন্দ্রনাথ মজুমদার।
মাহামুদ হাসান বলেন, তিনি ২০০৩ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রথমে মংলা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি জেলা কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক সখ্যতা, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়নসহ জনগণের মৌলিক দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন না করে ক্ষমতায় আসার রাজনীতিকে প্রধান করে তোলায় তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
মাহামুদ হাসান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশসহ বিশেষ করে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ঘটে। জনগণ ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁর এই যোগদান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রাজনীতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের দলে আসছেন তাঁদের আমরা স্বাগত জানাই। এতে আমাদের দল আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপসম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শরিফুন হাসান বীথি বলেন, তাঁর স্বামী মাহামুদ হাসান আওয়ামী লীগে যোগদান করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা এখন সম্মিলিতভাবে এলাকার ও জনগণের জন্য কাজ করতে পারবেন।