বাদ জুমা ধানমণ্ডিতে ড. গণির জানাজা
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ বাদ জুমা রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর বনানী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
ড. গণির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাদ জুমা ধানমণ্ডির ঈদগাহ মসজিদে ড. গণির জানাজা হবে। এর পর বনানী কবরস্থানে তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের কবরেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর ছেলে নূর আই গণি বলেন, ‘হাসপাতালে আসার আগের দিন আব্বা বলেছিলেন, এ দেশটা এত সুন্দর, এত রিসোর্সফুল। আমি অনেক কিছু করতে পারতাম। আমি আরো কিছু করতে চাই। এটাই ছিল তাঁর শেষ কথা। তার পর থেকে আব্বার সংজ্ঞা ছিল না।’
আর এ গণির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাঁর মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানান।
গত ৭ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বারডেম এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ড. আর এ গণিকে। স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ড. আর এ গনি। পরে দীর্ঘদিন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
ড. গণি তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা।